About Book
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি কুয়াশা, ডুয়ার্সের চা-বাগানের সবুজ ঢেউ আর বনের নীরব নিশ্বাস—এই বইয়ের প্রতিটি কবিতায় মিশে আছে সেসব দৃশ্য, গন্ধ ও অনুভূতির ছাপ। এখানে প্রকৃতি শুধু প্রেক্ষাপট নয়, জীবনের শিক্ষক, সঙ্গী ও প্রেরণা। নারীর স্বপ্ন, ব্যথা ও শক্তির কণ্ঠস্বর মিশে গেছে সমাজের প্রতি এক গভীর দায়বদ্ধতায়। এই সংকলন প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের, এবং অবিচারের বিরুদ্ধে নীরব অথচ দৃঢ় কাব্যিক প্রতিবাদের এক অনন্ত যাত্রা।
About Author
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি হাওয়া, ডুয়ার্সের চা-বাগানের সবুজ ঢেউ—সেই ছিল জয়িতা গাঙ্গুলীর শৈশবের আশ্রয়। কুয়াশার নরম চাদরে ঢাকা সকাল, বনের পথের নিস্তব্ধতা, চা-পাতার গাঢ় সুবাস—এসবই যেন শৈশব থেকেই তাঁর সত্তার অন্তঃস্বর হয়ে আছে। সাহিত্যপ্রেমী বাবা-মায়ের ঘরে বেড়ে ওঠা জয়িতা খুব অল্প বয়সেই শব্দের আলো চিনেছেন, কবিতার লুকোনো আঙিনা আবিষ্কার করেছেন। চা-বাগানে উচ্চপদে কর্মরত পিতা তাঁকে শিখিয়েছেন, প্রকৃতিকে ভালোবাসা মানে তার কাছে নত হয়ে দাঁড়ানো, তার গোপন ভাষা শোনা।
সমাজ-মনস্ক পরিবারে জন্ম নেওয়া জয়িতা দীর্ঘ কর্মজীবন কাটিয়েছেন ডুয়ার্সের এক ছোট্ট জনপদের মেয়েদের উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়িয়ে—শুধু ভাষা নয়, শেখিয়েছেন সাহসের ব্যাকরণ, স্বপ্নের উচ্চারণ। তাঁর কবিতায় অনুরণিত হয় পাহাড়ের ডাক, বনের নিঃশ্বাস, চা-বাগানের নীরব গান—সঙ্গে থাকে নারীর শক্তি ও মর্যাদার প্রতি অটল বিশ্বাস। আর যখনই পঙ্ক্তিগুলোতে ভেসে ওঠে অবদমিত নারীর ব্যথা, সেগুলো হয়ে ওঠে স্নিগ্ধ অথচ তীব্র প্রতিবাদের এক অন্তরঙ্গ ভাষা।